নিজস্ব প্রতিবেদন:সমস্ত পশু পাখির রাজা সিংহ। এগুলো একাই রাজত্ব করে বেড়ায় বন গুলোতে।দ্রুতগামী এবং শক্তিশালী প্রাণীদের মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে সিংহ।সিংহ বিড়াল শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত একটি প্রাণী। সিংহ তার দেহের তুলনায় অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকে।সমতল এবং পাহাড়ি বনভূমিতে এদের বসবাসএদের মধ্যে কিছু কিছু প্রজাতি আছে যারা একা চলাচল করে।
পৃথিবীতে যত ধরনের প্রাণী রয়েছে সব প্রাণীর মধ্যে সিংহ হচ্ছে সবচেয়ে দ্রুতগামী প্রাণী। এরা কখনোই বনের মধ্যে অন্য কোন প্রাণীকে ভয় করে চলে না। স্বীকার করার দিক থেকে সবচেয়ে দ্রুতগামী প্রাণী সিংহ। শিকারির দক্ষতার দিক দিয়ে খুবই পারদর্শী এগুলোর দেহে প্রচন্ড শক্ত রয়েছে। জানোয়ারের পরিচয় তার হিং,স্রতার মাধ্যমে। আর সিংহ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি হিং,স্র প্রাণী।
আমাদের দেশের বিভিন্ন বন অঞ্চলেও এদের দেখা মিলে। অনেক সময় এরা বিভিন্ন লোকালয়ে প্রবেশ করে ফেলে। লোকালয় রাতের বেলা শিকারের সন্ধানে প্রবেশ করলে পরে রাস্তায় ভুলে গিয়ে রাতারাতি বের হতে না পারলে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকে।এবং বিভিন্ন পোষা প্রাণী ও মানুষের উপর মাঝেমাঝে আক্রমণ করে বসে। এ ধরনের অনেক ভিডিও ইন্টারনেটে সচরাচর পাওয়া যায়।গন্ডার পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন প্রজাতির প্রানীদের মধ্যে অন্যতম।
এজন্য এদেরকে আইকনিক প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়।প্রাচীন যুগের বিশেষ প্রাণী হাওয়ায় বর্তমান পর্যন্ত টিকে থাকা তাদের জন্য গর্বের একটি বিষয়। ধারণা করা হয় এদের আবির্ভাব ৫০ মিলিয়ন বছর পূর্বে হয়েছিল। এদের বিভিন্ন কীর্তিকলাপ এবং উৎপত্তি সম্পর্কে আজকে জানবো। তবে এখানে বলে রাখা ভাল, যে গন্ডার কে ইংরেজিতে “Rhinoceros” বলা হয়। গ্রিক শব্দ “Rhino” অর্থ নাক এবং “Ceros” অর্থ শিং।
প্রকৃতপক্ষে এদের শিং নাকের স্থানে হওয়ায় এমন নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে পৃথিবীতে মোট ৫ প্রজাতির গন্ডার রয়েছে। এদের মধ্যে দুটি প্রজাতি আফ্রিকার এবং তিনটি এশীয় অঞ্চলের। আফ্রিকান প্রজাতির মধ্যে কালো এবং সাদা রঙের গন্ডার বিদ্যমান। তবে আফ্রিকার কালো গন্ডার এবং জাভান প্রজাতির গন্ডারের সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে।
এ প্রজাতি কিছুটা বিলুপ্তির পথে। ধারণা করা হয় আগামী তিন প্রজন্ম পর্যন্ত এরা সর্বোচ্চ টিকে থাকতে পারবে। তারপর হয়তও এদের আর দেখা মিলবে না। যদিও প্রাণীদের বিলুপ্তির পিছনে মানুষ অনেক ভাবে দায়ী।৫ প্রজাতির গন্ডারই ওজনে ১০০০কেজি উপরে হয়ে থাকে। বাচ্চা অবস্থায় এদের ওজন কম হলেও, প্রাপ্তবয়স্ক হলে এদের সর্বনিম্ন ওজন ১০০০ কেজি পর্যন্ত হয়। তবে সাদা প্রজাতির গন্ডার সর্বোচ্চ ৩৫০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এজন্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে হাতির পরে এর অবস্থান।এদের দেহের আকার-আকৃতি, ওজন সবকিছু বেশি হলেও, মস্তিষ্ক অনেক ছোট। অর্থাৎ কোন প্রাণীর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে অনেক কিছু বেশি থাকলেও এদের মস্তিষ্ক ক্ষুদ্র প্রকৃতির কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে এদের বুদ্ধি কম। কেউ যদি এর বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সন্দেহ করে, তবে তাকে অনেক সময় মৃত্যুমুখে পতিত হতে পারে।
আজকের এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে এই হিং,স্র সিংহ আক্রমণ করেছে গন্ডার দম্পতির ওপর। গন্ডার দম্পতি তার ক্ষিদার তাড়নায় বনের মধ্যে কোন শিকার না পেয়ে সিংহের বাচ্চা শিকার করতে যায়।স্বীকার করতে না পেরে উলটো সিংহের শিকার বনে যায় এই দুই দম্পতির। ভিডিওটিতে একটি সিংহ দুইটি গন্ডারের উপর আক্রমণ করে।
অনেকক্ষন ছোটাছুটির পর অবশেষে গন্ডার দুই টিকে সে ধরতে সক্ষম হয়। সাথে সাথেই সিংহ গন্ডারের পেছনে কামড়ে ধরে। গন্ডার দুইটি সিংহের বাচ্চাকে স্বীকার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে যায় মা সিংহের হাতে। বিষাক্ত সিংহের কামড়ে ছটফট করতে শুরু করে দুই গন্ডার।প্রথমত গন্ডার যদিও প্রাণের ভ,য়ে পালাচ্ছিল। কিন্তু পরে যখন সিংহ হাতে ধরা পড়ে যায় তখন সে উল্টো আক্রমণ করার চেষ্টা করে।এক পর্যায়ে সিংহের সাথে আর পেরে উঠতে পারছিল না গন্ডার দুইটি।