নিজস্ব প্রতিবেদন:কুকুর একটি পোষা প্রাণী। কুকুরকে মানুষে সহজেই পোষ মানিয়ে ফেলে।কুকুর একটি ভদ্র প্রাণী। তবে কিছু কিছু কুকুর আছে যারা অনেক দুষ্ট। পৃথিবীতে অনেক মানুষ কুকুরকে পোষা প্রাণী হিসেবে লালন করে থাকে। তবে কুকুর পালন করা বাংলাদেশের তেমনটা দেখা যায় না। কিন্তু প্রায় অনেকগুলো দেশের দেখা যায়। কুকুর তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।
খাবার সময় ঘুমানোর সময় চলার সময় সব সময় কুকুর পাশে থাকে। তাদের শরীরের চাইতেও কুকুরকে বেশি যত্ন নেয়। তুই আমাদের দেশের ছোট থাকতে ছেলেমেয়েরা অনেক সুখের বসে কুকুরছানা লালন করে থাকে। বাবা মা বকা দেওয়ার পরেও তারা বাড়িতে এনে কুকুরছানা লালন করে।পৃথিবীতে যত পশুপাখি রয়েছে সবকিছুই উপরওয়ালার সিষ্টি। তাই কোন প্রাণী কে ঘৃণা করে পশু পাখির সাথে ভালো আচরণ করতে হবে।
আজকে আমরা আপনাদেরকে এমন একটি ঘটনা শেয়ার করতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এবং অনেক মানুষ এই ভিডিওটি দেখে ছেলেদের প্রশংসা করেছে। কারণ এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত দেখা যায় না পশুপাখিদের প্রতি এমন ভালোবাসা সত্যিই যুবকটি প্রশংসার দাবিদার। একটি গ্রামের গরিবের ছেলে সে। টাকার প্রয়োজনে ছোটবেলায় পড়ালেখা করতে পারেননি।
তাই অন্যান্য ছেলেদের মতো তারা আর স্কুলে যাওয়া হতো না। সেই স্কুলে না গিয়ে মানুষের বাসাবাড়িতে ঘুরেফিরে সময় কাটাতো আর পশু পাখিদের সাথে খেলাধুলা করে সময়টা কাটিয়ে দিত। সেই সময় থেকে সে পশু ভক্ত হয়ে গিয়েছে। তাইতো পশুপাখিদের কষ্ট সে সহ্য করতে পারে না। পশুপাখি যেখানে কষ্ট থাকুক না কেন সে তার সাধ্যমত চেষ্টা করে পশু-পাখিকে সুখে রাখার জন্য।
সে একদিন একটি গ্রামের খুঁজে পেল। যেখানে অনেকগুলো কুকুরছানা রয়েছে। কুকুর ছানা গুলো মা নেই।এগুলো মা ছোট অবস্থায় থাকতে মারা গিয়েছে। এখন ছানাগুলো মরার মত অবস্থা হয়ে গেছে। যেখানে সেখানে পড়ে আছে ক্ষুধার তাড়নায় ছটফট করতেছে। সে দৃশ্য দেখে আর সহ্য হলো না। সেওই গ্রাম থেকে ছাগল তার বাড়িতে নিয়ে আসলো প্রায় দশটি ছানা। এনে সে বুদ্ধি খাটিয়ে কুকুরছানা গুলো রাখার জন্য একটি ঘর বানানো।
ঘর টি ছিল মাটির। দেখতে অনেকটা বড় কুকুরের মতো লাগতো।ছানা গুলো অনেক সময় মনে করত তাদের মা দাঁড়িয়ে আছে।সেটা মনে করে তারা আর চিল্লাপাল্লা করত না। ছেলেটি নিয়মিত কুকুরছানা গুলোর সেবা-যত্ন করতে শুরু করল। নিয়মিত খাবার দাবার। এগুলোকেও পরিষ্কার করানো সব দায়িত্ব নিল ছেলেটি। এমন করে আস্তে আস্তে সানা গুলো বড় হতে লাগল।
কয়েক মাস পর দেখা গেল ছানাগুলো প্রায় বড় হয়ে গিয়েছে। শরীরটাও অনেক শক্তিশালী দেখা যায়। সারাদিন খেলাধুলা করে আবার সে তাদের ঘরের মধ্যে চলে আসে।কুকুরছানা গুলো বিকেলবেলা খেলাধুলা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম দিয়ে চোরকি দোলনা বানিয়ে রেখেছেন। তারা এগুলোর মধ্যে খেলাধুলা করে সময় পার করছে। আসলে বলতে গেলে যুবকদের কর্মকান্ড দেখে সত্যিই ভাল লাগার মত।
বর্তমানে এরকম পশু ও মানুষ নাই বললেই চলে। তাইতো এই ভিডিওটি আপলোড দেওয়ার সাথে সাথে প্রশংসা কুড়িয়েছেন কোটি কোটি দর্শক দের। তাই আমরা বলব পশুপাখি অবুঝ একটি প্রাণী তাদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব মানুষের। তারা কষ্ট শেয়ার করতে পারে না কথা বলতে পারেনা। তাদের অভাব দেখে মানুষকে বুঝে নিতে হবে ওই পশুপাখি কেমন আছে।
তাদের সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করা উচিত নয়।এরকম অসহায় পশুপাখিদের পেলে এগুলোকে তুলে এনে সেবা-যত্ন করা মানুষের দায়িত্ব।