কুকুর আর বিড়ালের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, কুকুরের ভয়ে জান নিয়ে পালাল বিড়াল, ইন্টারনেটে তুমুল ভাইরাল ভিডিও!

নিজস্ব প্রতিবেদন:বিড়াল কেন পানিকে ভয় পায় এ বিষয়টি অনেকেরই প্রশ্ন। মূলত এ বিষয়টি বহুকাল আগে থেকেই বিড়ালের আচরণে রয়ে গেছে। বিড়ালের পশম ভিজে গেলে কুকুরের মতো সহজে শুকায় না। এ কারণে বিড়ালকে বাড়তি সময় নিয়ে পানি শুকাতে হয়। ফলে এ বিষয়টি বিড়ালের স্বভাবের অন্তর্গত হয়ে গেছে। কিছু বিশেষজ্ঞ অবশ্য বলেন, বিড়াল শক্ত স্থানের ওপর দাঁড়াতে পছন্দ করে এবং পানির মতো জিনিসকে তারা এড়িয়ে চলতে চায়।

কিছু কুকুরও বিড়ালের মতো পানিকে ভয় পায়।অনেকেই বিড়ালকে ঘন ঘন স্ট্রেচ করতে দেখেন। কিন্তু এর কারণ জানেন কি? মানুষ যে কারণে স্ট্রেচ করে বিড়ালও সে কারণে স্ট্রেচ করে। এটি রক্তচলাচল বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন বিড়াল দৈনিক ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা ঘুমায়। আর ঘুমানোর সময় বিড়ালের রক্তচাপ কমে যায়। ফলে স্ট্রেচ করলে তা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় আসে।অনেকেই কুকুরকে ঘুমানোর আগে এক চক্কর ঘুরে নিতে দেখেন। কুকুরের এ আচরণের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা জানান, প্রাচীনকাল থেকেই কুকুরের এ অভ্যাস রয়েছে। কুকুর যখন জঙ্গলে ঘুমাতো তখন ঘাস ও জঙ্গলগুলোকে নিচু করে নিয়ে তার ওপর ঘুমাতে হত। আর এজন্য এক চক্কর ঘুরে নিত তারা। এখনও সে অভ্যাস রয়ে গেছে কুকুরের।অনেকেই বিড়ালের এ আচরণটির সঙ্গে পরিচিত। বিড়াল মাটিতে বা বালুতে গর্ত করে সেখানে মল ত্যাগ করে। এরপর তা ঢেকে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিড়াল তার পদচারণার চিহ্ন লুকাতে চায়। শত্রুরা যেন তার অবস্থানের জায়গা সম্পর্কে জানতে না পারে সেজন্য তারা এ পদক্ষেপ নেয়।

এছাড়া উন্মুক্ত মল থেকে গন্ধ ছড়ায় এবং তা তার শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে উপস্থিতি জানিয়ে দিতে পারে।অনেক পোষা বিড়ালই মৃত ইঁদুর ও অন্যান্য প্রাণী বাড়িতে নিয়ে আসে। আর এর কারণ হিসেবে জানা যায়, বিড়ালের জন্মগত শিকারী স্বভাবের কথা। তারা ইঁদুর, পাখি ইত্যাদি ছোট প্রাণী শিকার করে এবং তা বাড়িতে এনে খায় বা তার ছানাদের খাওয়ায়। এখন বিড়াল যদি সে প্রাণীগুলো নাও খায় তার পরেও তা বাড়িতে নিয়ে আসে।চকলেটে থিব্রোমাইন ও ক্যাফেইন রয়েছে। এগুলো কুকুরের জন্য বিপজ্জনক।

কুকুর চকলেট খেলে তার বমি ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।বাড়িতে বিড়াল থাকলে একটি বাক্স নিয়ে দেখতে পারেন। বিড়াল এটিকে বাড়ি হিসেবে বানাবে কিংবা এটি নিয়ে খেলবে। কিন্তু কী কারণে বিড়ালের এ আচরণ? এ প্রসঙ্গে শেষজ্ঞরা বলেন, বিড়াল প্রাচীনকাল থেকেই ছোট ছোট স্থানে বসবাস করে অভ্যস্ত। আর এ ধরনের স্থানে তার পক্ষে শত্রুর চোখে ধুলো দিয়ে লুকিয়ে থাকা সহজ। এ কারণেই বিড়াল বাক্স পছন্দ করে।আমরা অনেকেই কুকুরকে ঘামতে দেখি না।

যদিও কুকুর ঘামে। তবে মানুষের চেয়ে কম ঘামে তারা। ঘাম মূলত তাদের ত্বকে জমা থাকে এবং সেখান থেকে বাষ্প হয়ে যায়। মানুষের মতো গড়িয়ে পড়ে না।প্রায়ই কুকুরকে একে অন্যের গন্ধ নিতে দেখা যায়। অনেক কুকুর আবার একে অন্যের পশ্চাতদেশের গন্ধ শুকতে খুবই পারদর্শী।

কুকুরের ঘ্রাণশক্তি মানুষের তুলনায় অনেক শক্তিশালী। কিন্তু কী কারণে এ আচরণ? এ প্রসঙ্গে গবেষকরা বেশ কিছু কুকুরকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। এতে তারা জানতে পেরেছেন, কুকুরেরা একে অন্যের গন্ধ শুকে তথ্য সংগ্রহ করে। আর এটি তাদের পারস্পরিক যোগাযোগেরও একটি মাধ্যম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *