ওভারলোড করতেই ঘটল বিপত্তি! মাঝ হাওড়ে কাদামাটিতে আটকে গেল ট্রাক। ভিডিওটি ইন্টারনেটে আপলোড দেওয়ার সাথে সাথেই ড্রাইবারকে নিন্দার ঝড় নেটিজেনদের। তুমুল ভাইরাল ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন: নতুন চালকদের জন্য গাড়ি চালানো ব্যাপারটা অনেক বেশি খুশির আর উত্তেজনাপূর্ণ হয়। গাড়ির টেস্ট ড্রাইভিং পাস করার সাথে সাথে যেন আর তর সয় না নতুন চালকদের। তারা গাড়ি নিয়ে ‌প্রথমদিনেই বের হয়ে পড়েন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যে। তাদেরকে বলবো , আত্মবিশ্বাসী হওয়া ভালো কিন্ত অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী মনোভাব ডেকে আনতে পারে সমূহ বিপদ।সবসময় মনে রাখবেন ,

গাড়ির লাইসেন্স পেয়ে যাওয়া মানে আপনি একজন গাড়ি চালানোর জন্য যোগ্য চালক , আদর্শ চালক কিন্ত নন। একজন আদর্শ বা ভালো মানের চালক হয়ে উঠতে আরো সময় বাকি রয়েছে।যেকোন বিষয়ে পারদর্শীতা অর্জন করতে হলে সে বিষয়ে নিয়মিত চর্চা করতে হয়। গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে ও এর ব্যাতিক্রম নয়, এক্ষেত্রেও আপনাকে প্রচুর পরিমাণে চর্চা করতে হবে।

প্রথমেই গাড়ি নিয়ে ব্যস্ত সড়কে না গিয়ে তুলনামূলক কম ব্যস্ত রাস্তায় একা গাড়ি প্র্যাকটিস করুন।এতে করে আপনার ড্রাইভিং স্কিল বৃদ্ধি পাবে।গাড়ি চালানোর শুরুতে নতুন চালকদের জন্য দরকারি ড্রাইভিং টিপস হচ্ছে প্রথম কয়েক দিন সাথে ইন্সট্রাক্টর রাখুন। অথবা গাড়ি চালানো বিষয়ে খুব অভিজ্ঞ কাউকে পাশে রাখুন। এতে করে আপনি এবং আপনার যাত্রী উভয়ই নিশ্চিন্তে ভ্রমন করতে পারবেন।

গাড়ির লাইসেন্স পেয়ে অনেকে নিজেদের ভালো চালক ভাবতে থাকেন। কিন্ত আসলে ব্যাপারটা এরকম না। লাইসেন্স পাওয়ার পরও একজন চালককে আরো অনেক কিছু শিখতে ও জানতে হয়। মনে রাখবেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পরেই আপনার দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায় ৯৯ শতাংশ। নতুন চালকদের আ্যডভান্স স্কিল লেসন, ডিফেন্সিভ ড্রাইভিং কোর্স ইত্যাদি নানান ধরনের কোর্স করে নেওয়া উচিৎ।

অনলাইনেও এসব কোর্সগুলো করানো হয়। ঘরে বসে বসেও গাড়ি চালানো সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।গাড়ি তো অনেকে ভালো চালাতে পারেন কিন্ত স্টিয়ারিং হুইল ধরার সঠিক নিয়ম জানেন না। স্টিয়ারিং হুইল ধরার সঠিক নিয়ম হচ্ছে, ঘড়ির কাঁটার ৯ থেকে ৩ অথবা ঘড়ির কাঁটার ৮ থেকে ৪ এরকম নিয়মে ধরা। এই নিয়মে স্টিয়ারিং হুইল ধরলে আপনি ভালোভাবে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

আর এভাবে স্টিয়ারিং হুইল ধরার অভ্যাস করলে আপনার হাতও কম ব্যাথা হবে।নতুন চালকদের উচিৎ সবসময় পি প্লেট ঝুলিয়ে রাখা। এখানে ‘পি’ দিয়ে প্রবিশন‌ পিরিয়ড বোঝায়। সবাই যাতে বুঝতে পারে যে আপনি নতুন চালক এবং এখনো গাড়ি চালোনা শিখছেন। বা এল প্লেটও ব্যবহার করতে পারেন। রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘটতে লাগে এক সেকেন্ড। ছোটখাটো এসব দূর্ঘটনা এড়াতে শিখুন ইন্ডিকেটরের ব্যবহার ।

ডানে, বায়ে অথবা লেন পরিবর্তন করার সময় অবশ্যই ইন্ডিকেটর দিয়ে সংকেত দেবেন যাতে পেছনের চালক বুঝতে পারেন যে আপনি কি চাইছেন। অনেক নতুন চালকেরা ইন্ডিকেটর সম্পর্কে জানেন না , যেটা সত্যি হতাশাজনক। আপনাকে গাড়ি চালানো শিখতে হলে অবশ্যই ইন্ডিকেটর লাইট জ্বালানোটা একটা নিত্য অভ্যাসে পরিণত করে ফেলতে হবে।

নতুন চালকদের প্রায়ই একটি সমস্যায় পড়তে দেখা যায় সেটা হচ্ছে রাস্তায় অন্যান্য যানবাহনের সাথে সঠিক দূরত্ব বজায় রাখতে না পারা । ধৈর্য্য সহকারে গাড়ি চালাতে শিখে নেবেন এবং গাড়ি চালানোর সময় অন্য গাড়ি এবং সিগন্যালে আগে থেকে থামা জেনে নেবেন।রিভার্স পার্কিং একজন নতুন চালকের জন্য কঠিন কাজ।

সঠিকভাবে পার্ক করতে অভিজ্ঞ গাড়ি চালকদেরও অসুবিধার সৃষ্টি হয়।নতুন ড্রাইভাররা গাড়ির গতি নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে ভীষণ ভালোবাসেন , বিশেষ করে অল্প বয়সী বা টিনেজ ড্রাইভাররা। সত্যি বলতে গাড়ি জোড়ে চালানোর চেয়ে সঠিক নিয়মে চালানো বেশি জরুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *