আর্শ্চ্যয অবিশ্বাস ঘটনা! সিংহ কে পায়ে করে ধরে আ’কাশে উ’ড়িয়ে নিয়ে গেল বিশালাকার ঈগল পাখি! সোশ্যাল মিডিয়ায় মূর্হুতেই ভাইরাল সেই ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন:পশুদের রাজা যেমন সিংহকে বলাহয় ঠিক তেমনি পাখিদের রাজা হলো ঈগল। সিংহকে যেমন তার মধ্যে থাকা বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের জন্য এই তকমা দেওয়া হয়েছে ঠিক তেমনই ঈগল পাখির মধ্যেও রয়েছে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য যা একে বাকি পাখিদের থেকে ওপরের স্থানে রাখে। আজকের আলোচনায় আমরা জানবো ঈগলের মানসিকতা সেই সমস্ত বৈশিষ্ট্য এবং এর থেকে আমরা কি কি জীবনের শিক্ষা পাই।ঈগল অন্য পাখিদের মতন দল বেঁধে ওড়েনা।

তারা একা বা নিজের প্রজাতির সাথেই আকাশের উচ্চতায় ওড়ে যেখানে অন্য পাখিরা পৌঁছতে পারেনা। অর্থাৎ নিজের লক্ষ্যকে উঁচু রাখো এবং সেখানে পৌঁছনোর জন্য দল ছেড়ে একা চলতে শেখো , অথবা একমাত্র তাদেরই সাথে নাও যারা তোমার মতন দৃষ্টিভঙ্গি রাখে এবং যাদের লক্ষ্য একই ।ঈগল পাখি অনেক উচ্চতায় উড়লেও নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকে। ঈগল কয়েক কিলোমিটার দূরত্ব থেকেও নিজের শিকারের প্রতি ধৈর্যের সাথে তীক্ষ্ন নজর রাখে এবং সঠিক সময়ে নিজের শিকারের ওপর আক্রমণ করে তা অর্জন করে।

অর্থাৎ এর থেকে আমরা এটাই শিখতে পারি যে ধৈর্যের সাথে পর্যবেক্ষণের পরে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করো এবং তার ওপর অবিচল থাকো। ততক্ষন হাল ছেড়ো না যতক্ষণ না তুমি সেটাকে অর্জন করছো ।অন্য পাখিদের বিপরীত ঈগল ঝড় ঝঞ্ঝা দেখে ভয় পায়না। তারা ঝড়ের সময় অন্য পাখিদের মতন আশ্রয় খুঁজে বেড়ায় না। ঈগল ঝড় পছন্দ করে কারন ঝড়ের হওয়ার তীব্রতাকে কাজে লাগিয়ে তারা ঝড়ের ওপরে উড়তে পারে এবং তাদের ডানাকে আরাম দিতে পারে ,

এর ফলে ঈগল আরও শক্তিশালী হয়। অর্থাৎ যেকোনো বিপদ দেখে পালিয়ে না গিয়ে আমাদের উচিত তার সম্মুখীন হওয়া এবং লড়াই করা। প্রতিটি বিপদ আমাদের কোনো না কোনো জীবন শিক্ষা দিয়ে যায় যা পরবর্তীতে আমাদের আরও শক্তিশালী করে তোলে।ঈগল নিজের জন্য সঙ্গী খোঁজার আগে তার যোগ্যতা এবং তার প্রতি সঙ্গীর অঙ্গীকারের পরীক্ষা নেয়।

অর্থাৎ জীবনে যেকোনো সম্পর্কে যাওয়ার আগে দেখে নাও যে সেই ব্যক্তির সাথে তোমার দৃষ্টিভঙ্গি মেলে কিনা এবং সে তোমার এবং তোমার জীবনের লক্ষ্যের প্রতি কতটা অঙ্গীকারবদ্ধ।জীবনের প্রায় ৪০ বছর অতিক্রম করার পরে ঈগল পাখির শরীর জীর্ণ হয়ে পরে , তখন তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয় – এক, নিজের এই দুর্বলতাকে স্বীকার করে নিয়ে মৃত্যুর পথ বেঁচে নেওয়া , অথবা দুই ,

বেদনাদায়ক পদ্ধতিতে নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করে জীবনের আরও ৩০ টি বছর উপভোগ করা। এই পদ্ধতিতে ঈগলকে নিজের পাখনা নিজেকে টেনে ছিড়তে হয় এবং নিজের ঠোঁট নিজেকে ভাঙতে হয়। এই পদ্ধতিতে প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগে। এর পর ঈগলের শরীরে নতুন পাখনা ও ঠোঁট আসে যা তাকে আগের মতন শক্তিশালী ও শিকারে পারদর্শী করে তোলে।

অর্থাৎ ত্যাগ ছাড়া সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়, নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে আমাদের অনেকসময় কঠিন সময় অতিক্রম করতে হয় , কিন্তু যে শেষ অবধি হাল না ছেড়ে ধৈর্য নিয়ে সইতে পারবে – সাফল্য তার কাছে ধরা দেবেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *