নিজস্ব প্রতিবেদন:মলা মাছ একটি সুস্বাদু খাবার। মলা মাছে থাকে ভিটামিন – এ।ভিটামিন – এ এর অপর নাম ক্যারোটিন।ভিটামিন – এ উজ্জ্বল ও স্তিমিত আলো দেখতে সাহায্য করে।ভিটামিন – এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। অন্যান্ন মাছের চেয়ে মলা মাছে অনেক পুষ্টি বিদ্যমান। বাড়ির আশেপাশে খাল বিলের নদ নদীতে মাছ ধরতে কার না ভালো লাগে। মাছধরা এটি একটি পরিশ্রমের কাজ।
কিন্তু অনেক সময় কঠিন পরিশ্রম ছাড়াও সহজেই মাছ মারা যায়। ঠিক তেমনি একটি ঘটনা ঘটে এক কৃষকের সাথে। টানা বৃষ্টির ফলে বন্যার পানি চতুর্দিকে হু হু করে বাড়ছে। প্রচুর বৃষ্টিপাত অনেকের জন্য কষ্টদায়ক হলেও আবার অনেকের জন্য আনন্দদায়ক। কারণ জেলেরা বৃষ্টির সময় প্রচুর মাছ মারতে পারে। বৃষ্টি না হলে তারা ঘরে বসে থাকতে হয়। বৃষ্টির পানি যখন বেড়ে যায় তখন মাছ গুলো ছোটাছুটি করতে থাকে।
সেই গ্রামের কৃষক ঘর থেকে বের হয়ে দেখতে পায় হাওরের মাঝখানে যে ব্রিজ টি রয়েছে। সেখানে পানি উপরে উঠে গিয়েছে।কিন্তু ব্রিজ টি অনেক লম্বা হওয়ায় জাল ফেলা তার জন্য খুবই কষ্টদায়ক। সে বুদ্ধি খাটিয়ে ভিন্ন রকম একটি জাল ফেললো ব্রিজের নিচে। জাল ফেলতেই মলা মাছের ঝাক এসে ভরে যায় জাল।সে কৃষক এক পর্যায়ে প্রচুর মলা মাছ ধরতে পায়। যা সে নিজের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত মাছ বাজারে নিয়ে বিক্রি করে।
সমুদ্রের তীরের এই পরিবেশ গুলো দেখতে খুবই স্বাভাবিক ।কিন্তু এত এত মাছ একসাথে দেখার অনেক অস্বাভাবিক।সমুদ্রের কিনারায় অনেক প্রকার বড়-ছোট অনেক মাছ দেখতে পাওয়া যায়।একজন কৃষক এমন সমুদ্রের তীরে যান ।যেখানে অনেক অনেক বড় বড় মাছ দেখা যায়। সেই বড় বড় মাছের লোভ যেন কেউ সামলাতে পারবে না। ঠিক তেমনি এই বড় বড় মাছ ওরা জাল দিয়ে ধরার একটি ভিডিও করেছেন একজন কৃষক।
ভিডিওটি ইন্টারনেটে আপলোড করে দেন।সেই ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে দিলে এটি ইন্টারনেটের বদৌলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল ভাবে ছড়িয়ে পড়ে।রাতারাতি সে ধারণকৃত ভিডিওটি হয়ে যায় ভাইরাল।সাথে সাথে ভাইরাল হয়ে যায় সে কৃষকের মাছ ধরার পদ্ধতি। যুবক সমুদ্রের তীরেমাছ ধরেছেন। তার মাছ ধরার কেমন ছিল অভাবনীয় ছিল। তিনি কৃষক হলে কি হবে সে জেলেদের থেকে ভালো কায়দায় মাছগুলো শিকার করেছে।
তাদের এমন কায়দা ভাবাচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের। তারা সবাই এভাবে তার মাছ ধরতে দেখে অনেকটাই চমকে যাচ্ছে। তারা অবাক হয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।এই কৃষকের উপর। আমাদের দেশে মিঠা পানির যে মাছগুলো পাওয়া যায়, তার মধ্যে মলা মাছ একটি। মলা মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। প্রতি ১০০ গ্রাম মলা মাছ থেকে আমরা ১০৮ কিলোক্যালোরি শক্তি পেয়ে থাকি। এর থেকে আমরা ৭৭ ভাগ জলীয় অংশ পাই।
আর এর মধ্যে ১৭.১ গ্রাম প্রোটিন আছে। ফ্যাট আছে ৪.৪ গ্রাম। ক্যালসিয়াম আছে ৭৬৭ মিলিগ্রাম।আয়রন আছে ৩.৮ মিলিগ্রাম।এ ছাড়া এতেম্যাগনেশিয়াম,জিঙ্ক,সোডিয়াম,পটাশিয়াম, ফসফরাস বিদ্যমান।মাছের মধ্যে যে টিস্যুগুলো কানেকটিভটিস্যুগুলো, সেগুলো খুব ছোট ছোট থাকে।
তাই যখন রান্না হয়, এগুলো খুব নরম হয়ে যায়। এর মধ্যে কানেকটিভ টিস্যুগুলো জিলেটিনে পরিণত হয়ে যায়। আর এটি সহজে আমরা গ্রহণ করতে পারি। খুব সহজে এটি ডায়জেস্ট হতে পারে। তাই মাছের প্রোটিন কিন্তু আমাদের শরীরে খুব তাড়াতাড়ি অ্যাবজর্ব হয় এবং শিশুদের জন্য মাছের প্রোটিন খুব উপকারী।অতএব মাছ আমাদের শরীরে এক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা ফালন করে।