নিজস্ব প্রতিবেদন:আমরা সব সময় দেখে এসেছি মানুষ ঘোড়ার পিঠে চড়ে বেড়িয়েছে তবে ঘোড়া ছাড়াও অনেক প্রাণী আছে যাদের পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ানো সম্ভব! এসব প্রাণীর তালিকা আপনি দেখলে অবাক না হয়ে পারবেন না। যেমন আশ্চর্যজনক ঠিক তেমন এসব প্রাণীর পিঠে মানুষ সচরাচর দেখা যায় না।
উটপাখি: উট পাখির পিঠে মানুষ চড়তে কখনো শুনেছেন, কিংবা শুনলেও দেখেছেন? না দেখে থাকলে এখন দেখুন। এক একটি উট পাখি মানুষ থেকে এতো বড় যে এসব পাখির উপর অনায়েসে মানুষ চড়ে বেড়াতে পারে।আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে হাজারো প্রাণি। একেকটি প্রাণির বৈশিষ্ট্য একেক রকম। তাদের কারো কারো বৈশিষ্ট্য ও কর্মকাণ্ড এমন আছে, যা শুনলে পাঠকমাত্রই অবাক হয়ে যাবেন।
আধুনিক বিজ্ঞান দীর্ঘ গবেষণার পর বিভিন্ন পশু ও পাখির এমনই কিছু অদ্ভুত তথ্য হাজির করেছে। সেগুলো জানলে বুঝা যায়,আল্লাহ তায়ালা কত নিপুণ করে তৈরি করেছেন পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণিকে। আজকে বিজ্ঞান-আলোচনায় রইল উট পাখির অদ্ভুত সব তথ্য।উটপাখির কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্যঃউটপাখিকে পাখিদের মাঝে সবচেয়ে বড় পাখি বলা হয়। একটি পুরুষ উটপাখি ৭ ফুট থেকে ৯ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং নারী উটপাখি ৫.৬ ফুট থেকে ৬.৬ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে।
উটপাখিকে টিকে থাকার দিক থেকে সবচেয়ে পুরোনো পাখিও বলা হয়। ১২০ মিলিয়ন বছর ধরে তারা পৃথিবীতে টিকে আছে।উটপাখির লাথি একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট।উটপাখি ঘোড়ার মত দৌড়াতে পারে। এটি ঘণ্টায় ৪৩ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে এবং পুরুষ উটপাখি সিংহের মত গর্জন করতে পারে। স্থলজ প্রাণীদের মধ্যে উটপাখির চোখই সবচেয়ে বড় চোখ। এতটাই বড় যে এর মস্তিষ্কের পরিমাণ এর চোখের চেয়ে কম।উটপাখি এবং জেব্রা প্রায় একসাথে থাকে শিকারী হতে নিজেদের রক্ষা করার জন্য।
উটপাখির দৃষ্টিশক্তি জেব্রা হতে ভালো আবার জেব্রার ঘ্রাণ এবং শ্রবণশক্তি উটপাখি হতে উন্নত।উটপাখির সমাজে এক অদ্ভুত উপায়ে সমতা আছে। উটপাখি ডিম পাড়ার পর সেই ডিম দিনের বেলায় মহিলা উটপাখি তা দেয় এবং রাতের বেলায় পুরুষ উটপাখি তা দেয়। জন্মের আগ থেকেই সন্তানের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেয় তারা।