নিজস্ব প্রতিবেদন:ভারত পুরো পৃথিবী থেকে কেন বর্জ্য কিনছে।যেখানে ভারতেই প্রতিদিন জমা হয় মিলিয়ন মিলিয়ন মেট্রিক টন বজ্র।কিন্তু তারপরও পুরো পৃথিবী থেকে এমনকি বাংলাদেশ এবং শত্রুদেশ পাকিস্তানের কাছেও বজ্রের জন্য হাত বাড়িয়েছে।তো চলুন জেনে নেয়া যাক পৃথিবী থেকে ভারতের বজ্র সংগ্রহ করা লুকিয়ে থাকা কারণ গুলোঃ
চলুন দেখে নেই,এই সিগারেটের আবর্জনা সংগ্রহ করে কি হচ্ছে।প্রতি বছর ভারতে 4.5 বিলিয়ন সিগারেটের আবর্জনা জমা হচ্ছে।অনেকেই মনে করে থাকে সিগারেটের এই অবশিষ্ট অবশিষ্টটুকু শুধু তোলা।কিন্তু এটা মূলত ফরমালডিহাইড এবং নিকোটিনের মিশ্রণে তৈরি করা হয়।
আর সিগারেটের খোলস থেকে সেগুলো কে আলাদা করে তৈরি করা হয়।ছোট ছোট বাচ্চাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেডি বিয়ার।এমনকি এগুলো দিয়ে তৈরি করা হয়।আরামদায়ক বালিশ।ভারতের একটি কোম্পানি এগুলোকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করে থাকে।
এ জুতাগুলো তৈরি করা হচ্ছে আবর্জনা থেকে।কোম্পানিটি প্রতিজোড়া তৈরি করতে ব্যবহার করছে দশটি প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং পাচটি প্লাস্টিকের বোতল।আর তারপরে প্রতি জোড়া জুতো 110 ডলার মূল্যে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।কোনোরকম রাসায়নিক ছাড়াই শুধুমাত্র গরম পানিতে এভাবে প্লাস্টিকের ব্যাগ পরিষ্কার করে নেই।
তারপরও শুকানোর জন্য ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।প্রথমে আট থেকে দশটি একত্রিত করা হয় এরপর সে গুলোকে তাপ দিয়ে কাগজে রূপান্তরিত করা হয়।তারপর সেগুলো কে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ফ্যাক্টরিতে।যেখানে পরিপূর্ণভাবে তৈরি করা হয় জুতা।এবং নির্দিষ্ট মাপে সেগুলো কেটে নেওয়া হয়।যদিও জুতার তলায় রাবার দিয়ে এরপর আঠা লাগিয়ে এগুলোকে শুকানোর জন্য ইউপিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।এগুলোকে সেলাই করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় প্যাকেট করার জন্য।
ভারতে এমন একটি রাস্তা আছে যে রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছে ময়লা আবর্জনা দিয়ে।এ রাস্তাটির দৈর্ঘ্য এক লক্ষ কিলোমিটার অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি তৈরি করেছে প্লাস্টিকের ময়লা আবর্জনা থেকে।এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করতে মাত্র এক টন প্লাস্টিকের ময়লা-আবর্জনা প্রয়োজন হয়েছিল।
আসলে এখনও প্লাস্টিকের ডাচ দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয় ভারতের অনেক প্রতিবন্ধকতা মুখোমুখি হতে হয়।ভারতের এই সতীশ কুমার রায় পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমানোর জন্য এই অভিনব পদ্ধতি বের করেছেন।আর সেটা কিনা প্লাস্টিকের আবর্জনা দিয়ে।ময়লা আবর্জনা গুলো সংগ্রহ করে এগুলো কি রিসাইকেল করা হয়।
আর তারপরেই 500 কেজি প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় 400 লিটার পেট্রোল ভারতের হায়দ্রাবাদের বইন বাজারের শাকসবজির বর্জ্য থেকে শুধুমাত্র নিস্কৃতির জন্যই নয় বরং তারা এমন একটি উপায় বের করেছেন।
যা দিয়ে বায়োগ্যাস শক্তি উৎপাদন করা হয়।
বিদ্যুৎ এই বাজারে প্রতিদিন 1 টন শাকসবজি বজ্র তৈরি হয় কিন্তু সেগুলো কে ডাস্টবিনে পরিবর্তে সেগুলো দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।যা দিয়ে রাস্তা এবং ঘরের লাইট জালানো হয়। সেটাও কিনা ময়লা আবর্জনা উৎকৃষ্ট থেকে।এটাকে বলে বায়োগ্যাস এই প্রক্রিয়াতে জটিল কিছুই নেই।
যে সকল শাকসবজি পচে যায় এবং যে সকল সবজি গুলো বিক্রি না হওয়ার কারণে কৃষকরা বাড়িতে নিয়ে যেতে হয়।সেগুলো কে প্রথমে কনভেয়ার বেল্টের পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর তারপর সে গুলোকে শেল্টারে দিয়ে আরো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের রূপান্তরিত করা হয়।এরপর সেগুলো কে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আরেকটি ফ্যাক্টরিতে আর এরপর সে সকল সবজি গুলো গ্যাস নির্গত করে থাকে।
এভাবেই ভারত প্রতিদিন ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী তৈরী করে বিদেশে রপ্তানী করে দিচ্ছে। এবং বিদ্যুৎ তৈরি করে মানুষের কষ্ট দূর করে দিচ্ছে।পেট্রোল গ্যাস তৈরি করে মানুষের চলাচলের পথ কে আরও সহজ করে দিচ্ছে।