অত্যাধুনিক মাছ ধরার জাহাজের সাহায্যে মাঝ সমুদ্রে জাল ফেলে এক টান দিতেই উঠে আসল মাছের স্তুপ। রাতারাতি ভাগ্য বদলে গেল যুবকের। তুমুল ভাইরাল ভিডিও।

নিজস্ব প্রতিবেদন:আমাদের দেশ থেকে দিন দিন মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।তার একমাত্র কারণ হল আমরা মাছগুলো ছোট অবস্থায় স্বীকার করে ফেলতেছি। বিভিন্ন হাওর বাওরে যখন মাছগুলো পুনা ছারে তখন আমরা বিভিন্ন জাতের জ্বাল দিয়ে এই মাছগুলো কে শিকার করে ফেলতেছি। তখন এই মাছগুলো কমে যাওয়ার কারণে দেশের মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।তেমনি একটি ভিডিও আজ আপনাদের কে দেখাবো।

যেখানে ভিবিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা সমুদ্রে মাছের পোনা ধরা হচেছ।ঝাটকা বিরোধী অভিযানের মুখে দক্ষিণাঞ্চলের মত্স্য শিকারীরা নদ-নদীগুলোতে পোনামাছ ধরার মহোত্সবে মেতে উঠেছে। পোনামাছ মারার জাল হিসেবে পরিচিত বেহেন্দি ও মশারি জাল দিয়ে জাটকার চেয়েও ছোট সাইজের ইলিশ, রিঠা, আইর, পাঙ্গাস, কাচকি, চাপেলি, চাপিলা, ভাটা, বায়লা, পুঁটি, বাইন ও চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নির্বিচারে শিকার করছে।

এ সব মাছ কোনটা কোন জাতের তা দেখে চেনা মুশকিল।অধিকাংশই ‘গুড়া মাছ’ হিসাবে কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। একটু বড়গুলো নানা প্রজাতির হলেও তা মিলিয়ে ‘সাচরা মাছ’ হিসাবে ভাগা দিয়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।এসব সুস্বাদু মাছ বড় হওয়ার আগেই জেলেরা নির্বিচারে শিকার করায় গত এক দশক ধরে ক্রমেই এসব মাছের বংশবিস্তার কমে যাচ্ছে। এমনকি মশারি জাল টেনে ‘গুড়া মাছ’

ধরার পর নদীর তীরে যে কাদা ও পলিমাটিতে এনে ফেলা হয় তাতেও হরেক প্রজাতির মাছের ডিম ধ্বংস হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় নির্বিচারে চলছে পোনা নিধন। চিংড়ির পোনা সংগ্রহ করতে গিয়ে অবাধে নিধন করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির কোটি কোটি মাছের পোনা এবং জলজ প্রাণী। এতে একদিকে মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে অন্যদিকে জীববৈচিত্র্যেরও ক্ষতি হচ্ছে।

যেভাবে রেণুপোনা পর্যন্ত শিকার করা হচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের নদ-নদীর সুস্বাদু মাছের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে সরকারি বিএম কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মতিয়ার রহমান জানান।তিনি প্রায় অর্ধশত প্রজাতির মাছ উপকূলের নদ-নদী থেকে হারিয়ে যাওয়ার তথ্য দিয়ে বলেন,মত্স্য বিশেজ্ঞরা মনে করেন ছোট মাছ নির্বিচারে শিকার হওয়ার কারণেই মৌসুমী মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।

নগরীর তালতলী পাইকারি ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, সূর্য উঠার আগেই প্রায় অর্ধশত নৌকাবোঝাই গুড়া মাছ নিয়ে হাজির হয়েছে জেলেরা। সারা বছরই এ বাজারে সবধরনের মাছ পাইকারি দরে বিক্রি হয়। ‘গুড়া মাছ’ নাম দিয়ে নানা প্রজাতির লাখ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে।প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, আগে নদীর মাছ ছাড়াও শীতের মৌসুমে এ অঞ্চলের পুকুর ডোবা, নালা, খাল -বিলে শীত মৌসুমে শিং, মাগুর, কই, শৌল, বাছা, পুঁটি ও ভেদি মাছ পাওয়া যেত।

নদ-নদীতে কাজলি, রানি, বাইন, পাটা বাইন, মহা শৌল, বাঘা আইড়, বোয়াল, রিটা, পিপলা, চিতলসহ কয়েকশ প্রজাতির সুস্বাদু মাছ পাওয়া যেতো। ধীরে ধীরে এসব প্রজাতির অধিকাংশ মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। শিং ও মাগুরসহ কিছু মাছ আগে পাওয়া গেলেও এখন তাও মিলছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *