নিজস্ব প্রতিবেদন:প্রযুক্তি বলতে কোন একটি প্রজাতির বিভিন্ন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপাদান প্রয়োগের ব্যবহারিক জ্ঞানকে বোঝায়। নিজের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে প্রজাতিটি কেমন খাপ খাওয়াতে পারছে এবং তাকে কিভাবে ব্যবহার করছে তাও নির্ধারণ করে প্রযুক্তি। মানব সমাজে প্রযুক্তি হল বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলের একটি আবশ্যিক ফলাফল।
ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানুষ পৃথিবীতে তৈরি করেছে বিভিন্ন আশ্চর্যজনক ও অবাক করার মতো কিছু স্থাপনা। আজকের এই ভিডিওতে পৃথিবীর কিছু আশ্চর্যজনক স্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যা মানুষের অদ্ভুত কারুকার্যের নিদর্শন। এগুলো দেখতে যেমন আশ্চর্যজনক তেমনি অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। তাই সবকিছু ভালোভাবে দেখতে এবং জানতে হলে ভিডিওটি না টেনে শেষ পর্যন্ত দেখার অনুরোধ রইলো।
গ্লাস ব্রিজ: এটি চীনের হুনান প্রদেশের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং উঁচু কাচের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেতুটি দুই পাহাড়ের মাঝখানে নির্মাণ করা হয়েছে। মজবুত এর দিক দিয়েই ব্রিজ এর সমতুল্য আর কোন ব্রিজ নেই। এই সেতুর উচ্চতা মাটি থেকে প্রায় 300 মিটার উপরে। এই ব্রিজটি বিভিন্ন মজবুতি পরীক্ষা করণের মাধ্যমে সফল হয়েছে।
এই সেতুর উপর দিয়ে চলার সময় এর নিচের গভীরতা স্পষ্টভাবে দেখা যায়। যার জন্য অনেকেই সেতুর উপর দিয়ে চলতে ভয় পায়। এতে মোট নিরানব্বইটি কাঁচের খন্ড লাগানো হয়েছে।হাওয়ায় ভাসমান কাছের হোটেল: এটি পেরুতে অবস্থিত। পাহাড়ের গায়ে লেগে থাকা এই হোটেল গুলো দেখতে খুব রোমাঞ্চকর। শক্ত এলমনিয়াম ও পলিকার্বনেট দিয়ে তৈরি 25 ফুট লম্বা ও 8 ফুট উঁচু। এটি একটি আরামদায়ক লাগজারি রুমের মত।
এতে আলাদা আলাদা বেডরুম ও বাথরুমের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে পৌঁছাতে হলে 400 ফিট উচ্চতার পাহাড় অতিক্রম করতে হয়।এখানে এক রাত থাকতে হলে প্রায় 20 থেকে 30 হাজার টাকা গুনতে হয়কায়ান টাওয়ার:এটির অবস্থান দুবাইয়ে।এটির সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হচ্ছে এটি উপর থেকে নিচ পর্যন্ত মোচড়ানো। এটি নির্মাণ করতে প্রায় 272 বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। এর উচ্চতা 30 মিটার।
এটি পৃথিবীর সবচাইতে অদ্ভুত বিল্ডিং এর মধ্যে একটি। সবচাইতে উঁচু কাচের প্ল্যাটফর্ম: এটি চিনে অবস্থিত। এটি মাটি থেকে তেরোশো ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। কে পৃথিবীর সবচাইতে লম্বা কাচের প্ল্যাটফর্ম।জাব পাহাড়ের কিনারা থেকে প্রায় 160 ফিট বাহির ঝোলানো।এত টাইটেনিয়াম ধাতুর ব্যবহার করা হয়েছে। ফালকির্ক হুইল: এটি স্কটল্যান্ডে অবস্থিত।
এর মাধ্যমে বড় বড় জাহাজকে এক নদী থেকে অন্য নদীতে স্থানান্তর করা হয়। এর একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটি খুব দ্রুত কাজ করতে পারে। এই মেশিনের ব্যবহার সর্বপ্রথম 2002 সালে করা হয়।এবসুলেট টাওয়ার: এটি কানাডায় অবস্থিত। এটি মানুষের নির্মাণের মধ্যে সবচেয়ে অদ্ভুত একটি নির্মাণ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটি আঁকাবাঁকা এবং একদিকে হেলে আছে। এই ইমারত দেখতে খুবই সুন্দর।
যা পৃথিবীর মানুষের কাছে আশ্চর্যজনক।তিয়ানমেন মাউন্টেইন স্কাইওয়াক: এটিও চীনে অবস্থিত। যা প্রায় 4700 ফিট উঁচুতে কাচের তৈরি রাস্তা। এটি প্রায় 200 মিটার লম্বা।